যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই রোববার ইসরাইল ও হামাসের আলোচনা শেষ হয়েছে। মিশরের কায়রোতে আলোচনা শেষে হামাস জানিয়েছে, তাদের দেয়া জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে ইসরাইল। আর সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনও চুক্তিতে যেতে চায় না হামাস। ফলে ইসরাইল ও হামাসের অনড় অবস্থানের কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
মিশরের রাজধানী কায়রোয় চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থার জন্য ইসরাইল ও হামাস পরস্পরকে দায়ী করছে। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে গতকাল দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় যেকোনো যুদ্ধবিরতি সমঝোতায় অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হামাসের প্রতিনিধিদল।
সেখানে ইসরাইলি কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকলেও নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘হামাস নিজেদের অনড় অবস্থান ধরে রেখেছে। এর মধ্যে প্রথম হলো গাজা থেকে আমাদের বাহিনীগুলো প্রত্যাহার, যুদ্ধ শেষ করা এবং হামাসকে ক্ষমতায় রাখা। ইসরাইল এটা মেনে নিতে পারে না।’
এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে একই পরিবারের ১৬ জন। ইসরাইলি হামলার পরে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ নিহত নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে তা বাড়িয়ে প্রথমে ১৬ এবং পরে ২১ জনে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত নেতানিয়াহুর সেনাদের আক্রমণে প্রাণ গেছে ৩৪ হাজার ৬৮৩ জন ফিলিস্তিনির। এছাড়া ইসরাইল-গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে রকেট হামলা করেছে হামাস। এতে ইসরাইলের ৩ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব।